নবকুমার:
পাট বাংলাদেশের প্রধান অর্থকারি ফসল। পৃথিবীর ৭৫ ভাগ পাট বাংলাদেশে উ’পাদিত হয়। কালের বিবর্তনতে বাংলাদেশ পাটের গৌরব হারিয়ে ফেলেছে। এ শিল্পের সাথে হাজার হাজার শ্রমিক জড়িত। বিএনপি জামায়াত ২০০১ সালে রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে উপমহাদেশের বৃহত পাটকল আদমজী জুট মিল বন্ধ করে দেয়। তখন হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ে। পাট শিল্পে ধ্বস নামে।
বর্তমানে পাটের হারানো গৌরব ফিরে আনতে ও পাটের উ’পাদন বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন কারখানা পরিদর্শনে ব্যস্ত সময় পার করছেন নবনিযুক্ত বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক। তিনি উদ্যোগ নিয়েছেন দেশে বন্ধ থাকা পাট কলগুলো চালু করতে।
আজ সোমবার রাজধানীর ডেমরাতে লতিফ বাওয়ানী জুট মিল পরিদর্শন করেছেন নারায়ণগঞ্জ ১ আসনের সদস্য সদস্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক। জুট মিলে মন্ত্রী পৌছালে তাকে ফুল দিয়ে বরণ নেয়া হয়। গোলাম দস্তগীর গাজী কে কাছে পেয়ে উজ্জীবিত হয়ে উঠে জুট মিলের শ্রমিকরা। মন্ত্রী কে কাছে পেয়ে আনন্দে ফেটে পড়ে তারা।
গোলাম দস্তগীর গাজী লতিফ বাওয়ানী জুট মিলের কার্যক্রম ঘুরে ঘুরে দেখেন । তিনি সবার সাথে কথা বলেন এবং বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।
শ্রমিকদের গোলাম দস্তগীর গাজী বুকে টেনে নেন। যা দেখে মুগ্ধ শ্রমিকরা।
এব্যাপারে লতিফ বাওয়ানী জুট মিলের শ্রমিক আব্দুল মজিদ বলেন, আমরা আনন্দিত এবং গর্বিত গোলাম দস্তগীর গাজী মন্ত্রী হয়ে পাট শিল্পের শ্রমিকদের খবর নিয়েছে। এর আগে অনেকে মন্ত্রী হয়েছে এসেছে কেউ এভাবে গোলাম দস্তগীর গাজীর মত আমাদের খবর নেয় নাই।
নারী শ্রমিক মজিনা আক্তার বলেন, আমাদের মধ্যে যে দক্ষতা ছিলো তা বাড়ছে গোলাম দস্তগীর গাজীর উ’সাহ উদ্দীপনায়। যে মিলের মন্ত্রী শ্রমিকের খবর নেয় সে মিল পিছে থাকতে পারে না। আমরা শ্রমিকরা গোলাম দস্তগীর গাজীর নেতৃত্বে পাটের হারানো গৌরব ফিরে আনব।
মানিক বলেন, জীবনের প্রথম এই বারই আমরা পাট শিল্পের শ্রমিকরা একজন শ্রমিক বান্ধব মন্ত্রী পেয়েছি। যে মালিক এবং শ্রমিকদের খোঁজ খবর লিয়েছে। মন্ত্রী সাহেব উ’সাহ আমাদের কামের গতি বৃদ্ধি করেছে।
এছাড়া শ্রমিকরা তাদের সমস্যাগুলোর কথা মন্ত্রী কে জানান। মন্ত্রী তা সমাধানের আশ্বাস দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মিজানুর রহমান, বিজেএমসির চেয়ারম্যান শাহ মো: নাসিম, সোনালি ব্যাগের উদ্ভোবক ও বিজেএমসির বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা মোবারক হোসেন, মন্ত্রীর বিশেষ সহকারি এমদাদুল হক, দৈনিক সংবাদচর্চার প্রকাশক ও সম্পাদক মুন্না খান প্রমুখ। ।
